ঐতিহ্যবাহী শাসনতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে হেডম্যান বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে। ১৯০০ সালের পার্বত্য শাসনবিধি
অনুসারে মৌজা হেডম্যানদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সুনির্দিষ্ট।
1) নিজ মৌজার অন্তর্ভূক্ত প্রজাদের নিকট হতে ভূমি রাজস্ব আদায় করা। আদায়কৃত রাজস্ব হতে নির্ধারিত হারে একটি অংশ সরকারী কোষাগাওে জমা প্রদান। প্রজাদের ভূমি সংক্রান্ত বিরোধ নিস্পত্তি এবং সরকারী জরিপ কাজে সহযোগিতা।
2) ভূমি সংক্রান্ত নথি সংরক্ষন করা। খাস জমি বন্দোবস্তি ও জমি হস্তান্তরের ব্যাপারে সহযোগিতা ও মতামত প্রদান করা। এবং প্রজাদের অ-স্থাযী জুমচাষের জন্য ভূমি বন্টন করা।
3) মৌজার শান্তি ও সামাজিক শৃংখলা বজায় রাখা। উপজাতীয় আদিবাসী রিতি অনুসারে ছোট ছোট দেওয়ানী ও ফৌজদারী মামলা নিষ্পত্তি করা। উক্ত আইন অনুসারে হেডম্যানরা তৃতীয় শ্রেনীর ম্যাজিস্ট্রেটের সমমান ক্ষমতাপ্রাপ্ত এবং তাঁরা দোষী ব্যক্তিকে সর্বোচ্চ রূপার মূদায় ২৫(পছিশ) টাকা পর্যন্ত জরিমানা করতে পারেন। অন্যদিকে রাজারা রূপার মূদ্রায় ৫০(পঞ্চাশ) টাকা পর্যন্ত জরিমানা করতে পারেন। এবং সন্দেহভাজন যে কোন ব্যক্তি কে আইন শৃংখলা বাহিনীর নিকট হস্তান্তর পূর্ব পর্যন্ত আতক বা আতক করে রাখার আদেশ দিতে পারেন।
4) মৌজার শান্তি শৃংখলা রক্ষা করা, মৌজার জনগনের চরিত্র গঠনে সহায়তা করা,এলাকার বনজ সম্পদ রক্ষা করা, চুরি ডাকতি দমনে প্রশাসন ও পুলিশকে সহায়তা করা।
5) তৃণমূল পর্যায়ের প্রতিনিধি হিসাবে মফস্বলে কর্তব্য কাজে নিয়োজিত সরকারীদের সহায়তা প্রদান করা। সরকারী আদেশ, নির্দেশ ও নীতিমালা মৌজার জনসাধারনের কাছে পৌছে দেওয়া।
6) বনজ সম্পদ তথা জীববৈচিত্র সংরক্ষনের জন্য নিজ মৌজার সুবিধাজনক স্থানে মৌজা রিজার্ব গড়ে তোলা।
7) মৌজার বনজ সম্পদ রক্ষায় জুমের আগুনে অথবা বিনা কারনে আগুন লাগিয়ে যাতে নষ্ট না হয় সে ব্যাপারে জনগণকে সচেতন করা।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস